নিউজ ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি নির্বাচনী আসনে ৪৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। রবিবার প্রত্যাহারের শেষদিনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তারা প্রত্যাহারপত্র জমাদেন। এরমধ্যে আওয়ামীলীগের ১ জন, জাতীয় পার্টির ২ জন, জাকের পার্টির ৬জনসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী রয়েছেন। এতে করে জেলার ৬ টি নির্বাচনী আসনে ৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য চুড়ান্ত হয়েছেন।
প্রত্যাহার করা ১১ জন প্রার্থীরা হলেন,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে জাকের পার্টির মোঃ জাকির হোসেন চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম, জাকের পার্টি জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টিÑকাজী মাসুদ আহম্মেদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে জাকের পার্টির সেলিম কবির ও জাতীয় পার্টির মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে জাকের পার্টির মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পার্টির তারেক এ.আদেল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে জাকের পার্টির মোঃ জামসেদ মিয়া ও জাসদের এডভোকেট মোহাম্মদ আক্তার হোসেন সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে জাকের পার্টি মোঃ আব্দুল আজিজ।
এদিকে নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য মাঠে রয়েছেন ৩৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে, আওয়ামীলীগ-বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জাতীয় পার্টির মোঃ শাহানুল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী বহিস্কৃত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট-মোঃ ইসলাম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী-আব্দুল মান্নান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে, স্বতন্ত্র বিদ্রোহী মঈনউদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টি-মোঃ রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী-এডঃ মোঃ জিয়াউল হক মৃধা, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন-ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ, তৃনমূল বিএনপি-মাইনুল হাসান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ রাজ্জাক হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মোঃ আবুল হাসনাত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে, আওয়ামীলীগ-বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্ট-সৈয়দ মোঃ নূরে আজম, জাসদ-মোঃ আব্দুর রহমান খান ওমর, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন-মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাস, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি-সোহেল মোল্লা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-জামাল রানা ও স্বতন্ত্র বিদ্রোহী-ফিরোজুর রহমান ওলিও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে, আওয়ামীলীগ-আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে, আওয়ামীলীগ-উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল,স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী- ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ, জাতীয় পার্টি-মোবারক হোসেন দুলু, ইসলামী ঐক্যজোট মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-মো. জামাল সরকার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন-ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুস, তৃণমূল বিএনপি-মুফতী হাবিবুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে, আওয়ামীলীগ-বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি-অ্যাডভোকেট মোঃ আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি-কবির মিয়া, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-সফিকুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।