ইঞ্জিন সংকটের কারনে জালালাবাদ ট্রেন…
13 February 2022,
95323 বার পড়া হয়েছে,
এটিভি সংবাদদাতা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া ওরফে সুজন ও তার লোকজনের দ্বারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী-(৬৭) মারধর পরে তাদের বাড়ীতে লোকবল নিয়ে গিয়ে তার স্ত্রী উষা বেগম-(৬২)সহ বাড়ীর অন্যান্য লোকজনের উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আখাউড়া উপজেলায় সাধারণ মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মহল থেকে উঠেছে নিন্দা প্রস্তাব। সাধারণ মানুষের সমালোচনায় উঠে এসেছে, একজন কাউন্সিলর কিভাবে প্রকাশ্যে সরকার দলীয় একজন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে মারধর করতে পারে। তার ক্ষমতার উৎস্ব কোথায়? কার দেয়া ক্ষমতা বলে একজন কাউন্সিলর লোকজনের সামনে রাস্তায় ফেলে মারতে পারে, বাড়ীঘরে হামলা করে ভাংচুর করে এতে বেশ কয়েকজন আহত হয় ।পুলিশ প্রশাসন কাউন্সিলরসহ ৭জনকে আটক করায় আখাউড়া পৌর শহরে কিছুটা সস্থি ফেরার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ বলছে যেমন কর্ম তেমন ফল পেয়েছে কাউন্সিলর সুজন। এখন বের হবে সে কার শক্তিতে এতো সাহস পায়।স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত বুধবার বিকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বুধবার বিকেল চারটার দিকে সড়ক বাজারের দরদী ফার্মেসীর সামনে একটি চেয়ারে বসা ছিলেন। সে সময় একটি ছেলে সেখানে গিয়ে মোহাম্মদ আলীর সাথে তর্কে জড়ান। এর মধ্যে পৌর শহরের নারায়নপুরের বাসিন্দা ও পৌর কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া ওরফে সুজন ও তার ভাই দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে মোহাম্মদ আলীকে পাঞ্জাবির কালারে ধরে সড়ক বাজারের সড়কের মাঝখানে নিয়ে যান। পরে কাউন্সিলর, তার ভাই ও তাদের লোকজন মোহাম্মদ আলীকে রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে কাউন্সিলর ও তার লোকজনকে ফিরিয়ে দেন। পরে স্থানীয়রা আহত মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।এর আগে কাউন্সিলর ও তার দলবল মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী উষা বেগমকে মারধোর করে ও তাদের বাড়িতে হামলা করে।এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর স্ত্রী উষা বেগম বলেন, বুধবার বিকেলে কাউন্সিলরসহ ৪-৫জন লোক তাদের বাড়ির ফটকে আঘাত করতে থাকেন। ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাংচুর করে এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। তাকে না পেয়ে উষা বেগমের পিঠে ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন তারা। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর ভাতিজা রোহান চৌধুরী বাদি হয়ে ১৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি অসুস্থ। পরে কথা বলব।এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দীন বেগ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলায় নির্বাচনী প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে আওয়ামী লীগ। কাউন্সিলর নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করলেও তার বিরুদ্ধে বিএনপির নাশকতার মামলা রয়েছে।আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন, আমি ঢাকায় আছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। কেন এমন হয়েছে আমি জানি না।এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আহত মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর ভাতিজা রোহান চৌধুরী বাদি হয়ে বুধবার রাতে পৌর কাউন্সিলরসহ ১৮জনের নাম উল্লেখও অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।আমরা ইতিমধ্যেই পৌর কাউন্সিলর, তার ভাই সাব্বিরসহ ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়াও পৌর কাউন্সিলর ও তার ভাই বিএনপির একটি নাশকতার মামলার এজহারভুক্ত আসামী। তিনি বলেন, বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।