স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মিথ্যা ও হত্যার রাজনীতি। ১৯৭৫’র পর বিএনপি ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি শুরু করে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, হত্যার পর মিথ্যাচারের রাজনীতি এটাই তাদের আর্দশ। এর ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারই বেঁচে যান তিনি।
এসময় আনিসুল হক বলেন, বাংলার মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের শুধু উন্নয়ন নয় রাজনীতিতেও শান্তি দেখেছে। এই রাজনৈতিক শান্তি অব্যাহত রেখে জনগণের কাছে তাদের প্রাপ্য ভোটাধিকার পৌঁছে দিয়েছি।
তিনি বলেন, এই রাজনৈতিক শান্তি অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা জনগণের কাছে তাদের প্রাপ্য ভোটাধিকার পৌছে দিয়েছি, ২০২৪ সালের সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে তা আবারও প্রমাণ করব। কেউ যাতে জনগণের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে সংবিধান অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক।
তিনি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া দুটো দুর্নীতি মামলায় আসামি ছিলেন। সেই মামলাগুলোর একটি বিচারিক আদালতে এবং আরেকটি হাইকোর্টে আপিল শুনানি হয়েছে এবং তাকে দন্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারিক আদালতে পাঁচ বছরের দন্ড দেয়া হয়েছিল, হাইকোর্টের আপিলে সেটা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। আরেকটি মামলায় বিচারিক আদালতে শুনানি শেষে তাকে সাত বছরের দন্ড দেয়া হয়েছে।’ “যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া দুটো মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ দ্বারা তিনি নির্বাচন থেকে বারিত, তার মানে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।”
খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা না করা নিয়ে সাংবাদিকরাই ধূম্রজালের সৃষ্টি করেছেন মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মুক্তি দেয়া হয়েছিল।
আবেদনে বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার জীবন বিপন্ন। তার সুচিকিৎসার প্রয়োজন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী দুটো শর্তে তার দন্ডাদেশ স্থগিত রেখে মানবিক কারণে মুক্তি দিয়েছেন। শর্ত দুটো হচ্ছে তিনি ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে দেশে চিকিৎসা নিবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না। সেখানে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না এমন কোন শর্ত ছিল না।’
এর আগে তিনি জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. নাছিরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আইন সচিব মো.গোলাম সারোয়ার, এই বিদ্যালয়ের ছাত্র সাবেক এমপি মো.শাহআলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.জয়নাল আবেদীন প্রমূখ।