স্টাফ রিপোর্টার \
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়ার ৩টি পুকুর পরিস্কার করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরগুলো সংস্কার ও পরিস্কার না করায় পুকুরের পানি যেমন ব্যবহার করতে পারছেন না তেমনি পুকুরগুলো মশার উৎপত্তিস্থলে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া এসব পুকুরে ময়লা জমতে জমতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আর এতে এলাকাবাসি পরেছেন মারাত্মক দুর্ভোগে।
জেলা প্রশাসন কর্তৃক ওই পুকুরগুলো পরিস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাকে পত্র প্রেরণ করে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুকুরগুলো পরিস্কারের নিমিত্ত মালিকগণকে পত্র প্রেরণ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এমতাবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নিজ উদ্যোগে পুকুরগুলো পরিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবিরের দিক নির্দেশনায় ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ ক্দুদূসের সার্বিক তত্ত¡াবধানে পুকুরগুলোর পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এদিকে সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ মীর মোঃ শাহীন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কাউছার আহমেদসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
পরিদর্শনকালে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস বলেন, পুকুরগুলোর অবস্থা একদমই নাজুক। ময়লা-আবর্জনাসহ বর্জ্য ফেলানো হচ্ছে পুকুরগুলোতে। তাই ময়লা আবর্জনা জমতে জমতে ভরাট হয়ে এখন আর পুকুর বলে চেনারও উপায় নেই এমনকি এসব পুকুর সংস্কারের অভাবে পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগারে। এসব পুকুরে ময়লা আবর্জনা ও কচুরিপানা জমে ভরাটপ্রায় অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, সংস্কারহীন অবস্থায় থাকা এসব পুকুরের পানিও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরেছে। তাছাড়া মশার উৎপাদন বৃদ্ধির আদর্শস্থানে পরিণত হয়েছে এসব পুকুর। যার ফলে ডেঙ্গু, চিকনগুণিয়া, ম্যালেরিয়াসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের আশংকায় দিনাতিপাত করছেন এসব এলাকার গণমানুষ।
তিনি আরো বলেন, পুকুরগুলো পৌরসভার উদ্যোগে পরিস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ কাজে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।