স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে অলি (২৫) নামের এক যুবক। শুক্রবার রাতে শহরের কাজী পাড়া ধোপাবাড়ি মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় একটি বেসরকারী টেলিভশনের স্থানীয় অফিসও ভাংচুরের শিকার হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম আতংকের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে শহরের কাজী পাড়া সৈয়দ বাড়ী সংলগ্ন এলাকার মৃত মানু মিয়ার ছেলে অলি অতর্কিতভাবে ভারি লোহার অস্ত্র নিয়ে কাজী পাড়া ধোপাবাড়ি মোড়ে অবস্থিত রণি ষ্টোর নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় অলি ওই দোকানের ফ্রিজ, ফার্ণিচার, সোকেশের গøাস ভেঙ্গে ফেলে।
এ ছাড়াও সে ওই দোকানের পাশে থাকা স্থানীয় একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক সময়ের আলোর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মীর মোঃ শাহীনের কার্যালয়েও হামলা করে ভাংচুর করে। এ সময় অফিসের সাইনবোর্ড ও কম্পিউটার ভাংচুর করা হয়।
সেখানে ভাংচুর চালানোর পর সে সড়কে থাকার এক পথচারীর উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। তবে তার নাম পরিচয় জানাযায়নি। এতেও সে ক্ষান্ত না হয়ে ঘটনাস্থলে থাকা ৩ মোটর সাইকেল ভাংচুর করে সড়কে চলাচলকারী আরো ১ টি রিক্সা ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় রিক্সা চালক জীবন আহমেদ সুজন আহত হয়।
তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুলবাড়ীয়াস্থ এলাকার একটি গ্যারাজে থেকে রিক্সা চালায়। এ সময় তার আতংকিত হামলায় সকলের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে পড়লে কেউ সাহস করে এগোতে পাড়েনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে হামলার ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে রনি ষ্টোরের ম্যানেজার কামাল মিয়া বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি মারধরের শিকার হওয়ার পাশাপাশি তার দোকানের আড়াই লক্ষ্য টাকার আসবাবপত্রের ক্ষতি হওয়াসহ ক্যাশ বাক্স থেকে দু দিনের আমদানি ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অলিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন চলমান রয়েছে। এছাড়াও তিনি জানান, আটককৃত অলির বিরুদ্ধে হেফাজত তান্ডবসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।